খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৭ জুন, ২০২৪

Breaking News

  কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৫, আহত ৬০
  নেপালকে হারিয়ে ১৭ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
  ত্যাগের মহিমায় পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা, দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর

খুলনায় আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৫ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১০নং মহাবিপদ সংকেত জারির পর আজ দুপুর পর্যন্ত ৫টি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। শনিবার রাতভর পরিশ্রমের পর রোববার সকাল থেকে দাকোপ ও কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ অংশ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অতি ভাঙন প্রবণ এলাকায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী জানান, ১০নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পরই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
চালনা মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য হয়েছে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় প্রতিটিতে দেড় লাখ নগদ টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে। বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!